বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন

আপডেট :
দৈনিক বাংলাদেশ ক্রাইম বার্তা অনলাইন পত্রিকায় কিছু সংবাদদাতা আবশ্যক-বাংলাশের-৮টি বিভাগ এর অন্তর্গত-৬৪ জেলায়,-৪৯২-উপজেলার,সকল সরকারি -বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কিছু পুরুষ-মহিলা সংবাদদতা/প্রতিনিধি -নিয়োগ চলছে।
আশ্রায়ণ প্রকল্পের পল্লীগুলি হতে পারে আদর্শ আল্পনাগ্রাম নাচোলের বর্ধাইচন্ডিপুরে আরও একটি আল্পনাগ্রাম

আশ্রায়ণ প্রকল্পের পল্লীগুলি হতে পারে আদর্শ আল্পনাগ্রাম নাচোলের বর্ধাইচন্ডিপুরে আরও একটি আল্পনাগ্রাম

আবুল হোসেন নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে নেজামপুর ইউপির টিকইল গ্রামের দেখন বর্মনের মতই কল্পনা রানীর তুলির আঁচড়ে মনের রঙে রঙিন আরও একটি আল্পনা গ্রামের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার কসবা ইউনিয়নের বর্ধাইচন্ডিপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের পল্লীতে হিন্দু-মুসলিমদের ২৪টি বাড়ি এখন দৃষ্টি নন্দন আল্পনাগ্রাম। প্রশাসনের স্বীকৃতির অপেক্ষায় বর্ধাইচন্ডিপুরের কল্পনা রানীর আল্পনাগ্রাম। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে গৃহহীনদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রায়ণ প্রকল্পের পল্লীগুলি হতে পারে এক একটি

আদর্শ দৃষ্টিনন্দন আল্পনাগ্রাম। নাচোল পৌর এলাকার সাহাপাড়ার মেয়ে স্বামীহারা কল্পনা রানী(৪৮) পিতার মাটির বাড়িকে কল্পনা রানী রঙের আল্পনায় ভরিয়ে তুলেছিল। কল্পনা রানীর আশা ছিল কোন দিন নিজের বাড়ি হলে তার বাড়িটিও মনের মাধুরী মিশিয়ে আল্পনায় ভরে তুলবে। কসবা ইউনিয়নের বর্ধাইচন্ডিপুরে নাচোল উপজেলা প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি বাড়ি বরাদ্দ দেন কল্পনা রানীকে। বর্ধায়চন্ডিপুরে বাড়িটি পেয়েই কল্পনা রানী তার বাড়িটিকে আল্পনার রঙে ভরিয়ে তুলেছে। তার বাড়ির আল্পনা দেখে বর্ধাই চন্ডিপুরের ৮২টি বাড়ির মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১১জন ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ১৩ জনই তাদের বাড়ি আল্পনায়
ভরে তুলেছে। কল্পনা রানীর নিকট পরামর্শ ও তালিম নিয়ে এরকমই আল্পনা এঁকেছে প্রতিবেশী অচিন মাহালীর স্ত্রী শিল্পী রানী, বিপ্লবের স্ত্রী শ্রীমতি,
দুলাল সাহার স্ত্রী ছবি রানী, বাবলু মন্ডলের স্ত্রী সন্ধা বালা ও মচরুর স্ত্রী বেসো হেমরোম।

একই পাড়ার মুসলিমদের মধ্যে রাবেয়া খাতুন, রোজিনা বেগম, রাহিনুর বেগম, বিলকিস ও মৌসুমীসহ ১৩জনই তাদের ঘর আল্পনায় ভরিয়ে তুলেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতায় ওই পাড়ার ২৪টি বাড়িই এখন আল্পনার রঙে রঙিন আল্পনাপল্লী। প্রতিদিন শত শত দর্শার্থী একনজ ওই আল্পনাপল্লী দেখতে ভিড় জমাচ্ছে। বিল্পবের স্ত্রী শ্রীমতি, অচিন মাহালীর স্ত্রী শিল্পী ও স্বামীহারা কল্পনা রানী জানায়, তারা বাজারের প্রচলিত রং কিনে এনে তাদের বাড়ির ওয়ালে আল্পনা এঁকেছে। তাদের দাবি উপজেলার নেজামপুর ইউপির টিকইলের দেখন বর্মনের মতই তাদের গ্রামকেও আল্পনাগ্রাম ঘোষনা করা হোক।

কসবা ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম আজম মনে করেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে বর্ধাই চন্ডিপুরের ৮২টি বাড়ির মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িগুলি বিভিন্ন আল্পনা ও মুসলিম সম্প্রদায়ের বাড়িগুলির দেয়ালে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য এঁকে এ গ্রামকেও আল্পনাগ্রাম হিসেবে গড়ে তুলা সম্ভব। কসবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া আল মেহরাব বলেন, ধারনাটি খুবই সুন্দর। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাইমেনা শারমীন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রং ও আর্থীক সহায়তা দিয়ে ২৪টি বাড়িতে আল্পনায় ভরিয়ে তুলেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাইমেনা শারমীন জেলা প্রশাসক একেএম.গালিভ খানের নিকট ধারনাটি উপস্থাপণ করেন। আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়িগুলিকে আল্পনায় রাঙিয়ে তুলে আরও একটি আদর্শ আল্পনাগ্রাম হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাইমেনা শারমীন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.




©2022 All rights reserved nc
Design & Developed: POPULARHOSTBD